সামাজিক মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করাকে সাইবার বুলিং (Cyber Bullying) বলে। ভিকটিম অনেক সময় সামাজিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। সম্মান হারানো কিংবা ব্যবসায়িক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন অনেকে। এক্ষেত্রে ব্ল্যাকমেলিং ও কিডন্যাপের ঘটনাও ঘটে থাকে। মূলত সাইবার ক্রাইমের ঘটনা বেশী ঘটে থাকে।

প্রতিনিয়ত অনলাইনে কাউকে উত্ত্যক্ত করা, ছবি বিকৃত করে ভয়ভীতি দেখানো, অশ্লীল কথা বলা, মেসেজ দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো, গালি দেওয়া এমনকি ট্রলিং – সবই সাইবার বুলিং। 

• ফেইসবুকে কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে ফেক আইডি ব্যবহার বা অন্য একজনের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে সে সেজে পোস্ট করাও সাইবার বুলিং।

• ট্রলিং অনলাইন প্রজন্মের কাছে খুব সামান্য বিষয় হলেও তা সাইবার বুলিংয়ের আওতাভুক্ত।

• অনলাইনে গালি দেয়া, হোক তা সরাসরি কিংবা সংকেতে - তাও সাইবার বুলিংয়ের আওতাভুক্ত। 

 ● প্রাথমিকভাবে যে বা যার দ্বারা বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন, তাকে বুঝিয়ে বলতে পারেন এবং আপনার সপক্ষে যুক্তিগুলো গুছিয়ে জানাতে পারেন। আপনি না পারলে আপনার বন্ধু বা আত্মীয়কেও এই আলোচনাটুকু করতে অনুরোধ করতে পারেন।

● বুলিংয়ের শিকার নারীরা বেশি হন এবং তাঁরা তাঁদের সমস্যাগুলো এখনো পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, তাই বুলিংয়ের শিকার হলে অবশ্যই একজন বন্ধু, আত্মীয়, ভাই বা বোনকে জানাতে হবে।

● সাইবার বুলিংয়ে আক্রান্ত হলে কখনোই আপনি সাড়া দেবেন না এবং নিজেও পাল্টা আক্রমণ করবেন না। 

● সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টেই ব্লকের অপশন থাকে। প্রাথমিক বুলিং হলে বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অসংলগ্ন কথা বললে তাকে ব্লক করে দিতে পারেন।

● যদি বুলিং থেকে সেটি বড় ধরনের হুমকিতে পরিণত হয়, যা শারীরিক আক্রমণ, জীবননাশের হুমকি বা বড় ধরনের মানসম্মানহানির কারণ হয়, সেই ক্ষেত্রে 

আপনাকে বুলিং করা হয়েছে বা আপনি আক্রমণের শিকার হয়েছেন, এর সপক্ষে যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করবেন এবং সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ থানার সাহায্য নিতে হবে।

সাইবার বুলিংয়ের শাস্তি। 

☞ যে কোন ওয়েবসাইটে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা , অশ্লীল , অথবা মানহানিকর বক্তব্য , ছবি প্রকাশ করলে তিনি অনধিক ১৪ বছরের এবং অনূন্য ৭ বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। 

☞ অনুমতি ব্যতিত যে কোন সুরক্ষিত সিস্টেমে কোন ব্যক্তি প্রবেশ করলে তিনি অনাধিক ২৪ বছরের এবং অনূন্য ৭ বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন ।

আপনার আপনজন কেউ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে, অবশ্যই আইনের সহায়তা নিন। যদি ভিকটিম মুখ বুজে সব সহ্য করে! তবে দেখা যাবে অপরাধী আরও অপরাধ করতে উৎসাহবোধ করবে। আর সেক্ষেত্রে ক্ষতিটা কিন্তু আপনাদেরই হবে। তাই সময় থাকতেই আইনের শরণাপন্ন হোন। নিজে নিরাপদ থাখুন অন্যকে নিরাপদ রাখুন।