প্লাজমার জন্য ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কিছু পরই একটা ফোন, ‘হ্যালো, আমি করোনা পজেটিভ থেকে নেগেটিভ। প্লাজমা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু আমি তো থাকি ঢাকার বাইরে।’ 

‘ভাই, টাকা আমি দিচ্ছি। আপনি চলে আসেন। ’ বিকাশ থেকে ৫ হাজার টাকা সেন্ড হল। এরপর থেকেই প্লাজমাদাতা সেই ব্যক্তির মোবাইল বন্ধ!

এরোকম হাজার হাজার কাহিনী প্রতিদিনকার ঘটনা হয়ে উঠছে। দেশের এই পরিস্থিতিতেও “রক্তে” যার জন্য একজন মানুষের জীবন নির্ভর করে সেটি নিয়েও কিছু মানুষ প্রতারণা করে যাচ্ছে। 

এই পোস্টটি করার কারন হলো আপনাদের সচেতন করা, রক্ত বা প্লাজমার জন্য ভিবিন্ন যায়গায় জখন কথা বলবেন তখন কেউ না কেউ টাকা চেয়ে বসবে, দয়া করে রক্ত নেওয়ার আগে টাকা পয়সার লেনদেন করবেন না। এতে অনেক ক্ষেত্রে ডোনার আর আসে না। 

যদি একান্তই ডোনার কে দিতে চান তাহলে ডোনার আসলে তারপার তাকে দিয়েন, আগে থেকে দিয়ে প্রতারিত হবেন না। আর কোন আসল ডোনার কখনোই আপনার কাছে যাতায়াত ভাড়া চেয়ে নিবে না। 

যদি কেউ এই কাজের সাথে জড়িত থাকেন দয়া করে বেরিয়ে আসুন, এই অল্প কিছু টাকার জন্য হয়ত কোন একজন মানুষ মারা যাবে। রক্তের প্রয়োজন হলে নিরুপায় হয়েই কিন্তু রোগির আত্বীয়রা আপনাকে টাকাটা দেয়। যখন আপনি বলেন যে রক্ত দিতে পারবেন, শুধু ভাড়াটা দিলেই আসতে পারবেন তখন কিন্তু তারা অন্ধকারের মধ্যেও একটা ভরসা পায়। শুধু শুধু একজন মানুষ মারার কারন হবেন না।

ধন্যবাদ।

নিজে নিরাপদ থাকবেন,অন্যকে নিরাপদ রাখবেন