ঈদ যেহেতু লকডাউনের মধ্যে বসেই কাটাতে হচ্ছে অনেক মানুষই বাড়িতে বসে অনলাইনে কেনাকাটা করতে আগ্রহী হচ্ছে । তবে সমস্যা হচ্ছে অনেক প্রতারক চক্র এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষদের ঠকিয়ে নিজেরা লাভবান হয়ে যাচ্ছে ।

সেক্ষেত্রে অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে কিছু করণীয় -

অনলাইনে কোনো পণ্য কেনার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোও মেনে চলতে হবে।

(১)প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

(২) কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে রশিদ ও ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পণ্য গ্রহণ করা অনেকটাই নিরাপদ ।

(৩) ফেসবুকে কেনাকাটা করতে হলে অবশ্যই পাব্লিক রিভিউ দেখে নিবেন ।

(৪) যথাসম্ভব বিশ্বাসযোগ্য পেজ/গ্রুপ থেকে অর্ডার করু

(৫) সকল রশিদ সংরক্ষণ করুন ।

(৬) সুপরিচিত বা সুপ্রতিষ্ঠিত অনলাইন শপ ছাড়া অন্য কোন অনলাইন শপ থেকে কেনাকাটা না করাই শ্রেয় ।

যেকোনো পেজ , গ্রুপ বা সাইট থেকে কেনাকাটার ক্ষেত্রে কাস্টমার রিভিউগুলো ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করে নিতে পারেন।

অনলাইন কেনা কাটায় প্রতারিত হলে প্রথমেই আপনাকে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়েও মোকদ্দমা দায়ের করা যায় আদালতে। কিন্তু ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করাটা সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ।

মনে রাখবেন, পণ্য কেনা বা হাতে পাওয়ার তারিখ হতে ত্রিশ দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে হবে।

ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জরিমানা প্রদানের আদেশ দেবে। এ জরিমানা হিসেবে যে টাকা আদায় করা হবে তার ২৫ শতাংশ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাকে দেওয়া হবে।

প্রতারণার শিকার হলে বিলম্ব না করে পুলিশকে অবগত করুন। বাড়িতে বসেই নির্ভরযোগ্য অনলাইন শপ থেকে নিরাপদে কেনাকাটা করুন।